কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক চিঠিতে বলেছেন, এব্যাপারে বাংলাদেশের পাশেই থাকবে কানাডা।এছাড়া কানাডা মিয়ানমারে বিশেষ দূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতা দেখিয়েছে তা শক্তিশালী ও জরুরি উদ্যোগ। বাংলাদেশের এ নেতৃত্ব এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান জাস্টিন ট্রুডো।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোিহঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ, নির্বিচারে গণধর্ষণ ও বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সরব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে কানাডা। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৬ লাখ রোহিঙ্গা এসে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে আরো চার লাখ রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও তাদের ফেরত নেয়নি মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কানাডা এর আগে এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে এধরনের মানবিক বিপর্যয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহবান জানায় দেশটি। শুধু রোহিঙ্গা নয় অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ওপরও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডো রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কফি আনানের দেওয়া সুপারিশকেও সমর্থন জানিয়েছেন।
এছাড়া ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে সতর্ক বলে জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এতে করে তাদের দেশে নিরাপদে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে। আমি বিশ্বাস করি এর ফলে শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, মানবাধিকারের ব্যাপারে প্রত্যেকের জবাবদিহিতা থাকা উচিত। এবং তা বিনষ্ট হলে তার স্বাধীন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
চিঠিতে ট্রুডো আরো বলেন, কানাডা বিশ্বাস করে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি এবং একটি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রচেষ্টায় তারা তাদের দেশে ফিরতে পারবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন