কক্সবাজারের বালুখালী ও কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য বরাদ্দ বন বিভাগের ৩ হাজার একর জমির কাটাতার দিয়ে ঘেরার প্রস্তাব দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোহিঙ্গাদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সূত্র- একাত্তর টিভি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিনভর টেকনাফের শাপলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা একশ’ একাত্তর জন রোহিঙ্গাদেরকে। যাদের সবাই নতুন এসেছেন। পরে তাদের বালুখালী ক্যাম্পে পাঠায় প্রশাসন। এই সময় তিন বাড়িওয়ালাকে ৬ মাস করে জেল দেয়া হয় রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া দেয়ার অপরাধে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, রোহিঙ্গাদের বাইরে থাকার সুযোগ নেই, তাই প্রতিদিনই অভিযান চলছে। স্থানীয় কিছু লোকজন তাদেরকে ক্যাম্পে না নিয়ে মূলত তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য বাসা বাড়া দিয়েছে। এই অপরাধের কারণে তিন জনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৩ লাখেরও বেশি পুরনো রোহিঙ্গাদেরও বালুখালী ক্যাম্পে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেসব রোহিঙ্গা আছে তাদেরকে নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও যেন আশ্রয় না দেয়া হয় এই ব্যাপারে তারা স্থানীয়দেরকে সচেতন করছেন।
উখিয়া, টেকনাফ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয়দের সাথে রোহিঙ্গাদের মিশে যাওয়া ঠেকানো দরকার। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো কাটাতার দিয়ে ঘেরা দেয়ার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। প্রস্তাবটি এখন মন্ত্রণালয়ে আছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই প্রস্তাব পাশ হবার পর ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বাইরে বের হতে পারবে না কোন রোহিঙ্গা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন