মঙ্গলবার রাতে বনানীর চার নম্বর রোডের ১৩ নম্বর এ বাড়িতে ব্যবসায়ী সিদ্দিক মুন্সীকে হত্যার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক মুন্সী দুই মাস আগে এক ব্যক্তির কাছ থেকে হুমকি পেয়ে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
বুধবার নিহত এ ব্যবসায়ীর জামাতা আবু হানিফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুই মাস আগে আবদুস সালাম নামে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজে জড়িত এক প্রতিনিধি আমার শ্বশুরের কাছে ২০ লাখ দাবি করে হুমকি দিয়েছিলেন। এ হুমকি পাওয়ার পর উত্তরা পূর্ব থানায় সিদ্দিক মুন্সী জিডি করেন বলে জানান আবু হানিফ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সিদ্দিক মুন্সীর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায়। তিনি রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করতেন। বনানীর চার নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এমএস মুন্সী ওভারসিজের মালিক ছিলেন সিদ্দিক মুন্সী। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঢুকে সিদ্দিককে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ৩-৪ জন মুখোশধারী।
এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন এমএস মুন্সী ওভারসিজের তিন কর্মী- মির্জা পারভেজ, মোস্তাক ও মোকলেস। ঘটনার সময় প্রায় ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণের পর পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মুখোশধারী এসব দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দল। এরই মধ্যে তদন্তকারী পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের বাড়ি এবং সড়কের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোশতাক আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সিদ্দিক মুন্সীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে বলে জানান ডিসি। তিনি জানান, এরই মধ্যে বনানীর চার নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আশপাশের বাড়ি ও সড়কে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন