পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বয়স দেখানো হয়েছে ১৮ বছর। তার বিরুদ্ধে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। চিলমারী থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড করেছেন। প্রাথমিক সমাপনীতে অংশ নেয়া ওই পরীক্ষার্থীর নাম সাদেকুজ্জামান সিয়াম।
সে চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার বাবা রফিকুল বাদশার অভিযোগ পুলিশ মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে এই মামলাটি গ্রহণ করেছেন। বুধবার আদালতে শিশুটির জামিন আবেদনের শুনানিতে আদালত পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চিলমারীর কিসামত বানু গ্রামের বাসিন্দা সিয়ামের বাবা রফিকুল বাদশার সঙ্গে তার বিমাতা ভাই শফিকুল ইসলাম বাবলার ৩ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ২৯ অক্টোবর এ নিয়ে দু’পক্ষের সংষর্ষে আহত হন রফিকুল। এ ব্যাপারে বাদশাসহ ৩ জনকে আসামি করে গত ৪ নভেম্বর চিলমারী থানায় একটি মামলা করা হয়। ১১ নভেম্বর বাদশার মা লাইলী বেগম বাদী হয়ে সিয়াম ও তার বাবা-মাসহ ৫ জনের নামে একই থানায় কাউন্টার মামলা করলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই তা গ্রহণ করেন। মামলায় সিয়ামের বয়স দেখানো হয় ১৮।
বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিয়ামকে হাজির করা হয়। তাদের আইনজীবী রুহুল আমিন জানান, মামলার নথির সঙ্গে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন ও জখম সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র সংযুক্ত ছিলনা। অসৎ উদ্দেশ্যে পুলিশ এই মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান পুলিশের এরকম কর্মকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফ উদ্দিন শেখ বলেন, ওসি স্যার মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করার পর আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তাই তাৎক্ষণিকভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারিনি।
চিলমারী থানা পুলিশের ওসি কৃষ্ণ কুমার সরকার ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ধর্তব্য অপরাধ হলে প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই আমরা মামলা নিতে পারি। এ ক্ষমতা আমাদের আছে। এখানেও তাই করা হয়েছে। তবে তদন্তে তার বয়স কম এবং ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা না থাকলে সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরাতো গ্রেফতার করতে যাইনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন