সাতক্ষীরায় ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় এক মাইক্রোবাস চালককে ‘ক্রসফায়ারের হত্যার হুমকি’ দেওয়া হয়েছে। হুমকির মুখে চালক শফিকুল ইসলাম এখন নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে। চাঁদাবাজির অভিযোগের পর নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য শফিকুল পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
.
বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগ সাতক্ষীরা সদর থানা শাখার সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট চালক। ১৬ নভেম্বর পুলিশে আইজিপির কাছে এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘সাতক্ষীরা শহরে ২৩০টির মতো মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট রয়েছে। এসব যানবাহন থেকে সাতক্ষীরার ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদুর রহমানকে গাড়ি প্রতি মাসিক ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। কিন্তু সার্জেন্ট জাহিদুর রহামান বর্তমানে গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা চাঁদ দাবি করে আমাদেরকে হয়রানি করছে। চাঁদার টাকা দিকে অস্বীকার করায় সার্জেন্ট প্রতি মাসে কমপক্ষে তিন থেকে চার বার গাড়ি রিকুইজেশনের নামে গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে নিচ্ছে। রিকুইজেশন না খাটলেও কাগজপত্র ফেরতের জন্য গাড়ি প্রতি কমপক্ষে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আদায় করছে। টাকা দিতে না চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘এই চাঁদাবাজির টাকা প্রতি মাসে খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে ৫০ হাজার ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। এই টাকা বাড়ি থেকে এনে দিতে পারবো না উল্লেখ করে সার্জেন্ট জাহিদুল চালকদের বলেন, হয় টাকা দিবি না হয় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় উঠবি না।’
এই অভিযোগের কপি আইজিপিসহ ডিআইজি ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই অভিযোগ দেওয়ার পর ২০ নভেম্বর সার্জেন্ট জাহিদুল অভিযোগকারী শফিকুলকে মোবাইল ফোনে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন দারোগা দিয়ে মোবাইল করে মামলার ভয় দেখিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দিচ্ছে বলে জানান শফিকুল।
এ বিষয়ে সার্জেন্ট জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন আমার মোবাইল থেকে তাকে কল করা হয়নি।’
সাতক্ষীরার সদর সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগকারী শফিকুল ইসলাম ঘটনাটি সম্পর্কে আমাকে মোবাইলে জানিয়েছিল।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন