সম্প্রতি নিখোঁজ কিংবা গুম অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেনি। তবে অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে অনেকে ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক কারণে আত্মগোপনে গিয়ে গুম অপহরণের কথা বলেন। গেলো কয়েকদিনে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, কোনো নাগরিক নিখোঁজ হলে তার দায় রাষ্ট্রের উপর বর্তায়।
গেলো তিন মাসে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান, প্রকাশক তানভির ইয়াসিন করিম, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়, সাংবাদিক উৎপল দাস, আইএফ আইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা শামীম আহমেদ, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান। এদের মধ্যে অনিরুদ্ধ রায় ও শামীম আহমেদ ফেরত এসেছেন বাড়িতে। ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে গুম হওয়ার কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন অনিরুদ্ধ ও শামীম।
এছাড়া কয়েক মাস আগে লেখক, কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করা হয়েছিলে দাবি করে পরিবার। পরে খুলনা থেকে তাকে উদ্ধারের পর তিনি পুলিশকে জানায়, স্বেচ্ছায় সেখানে গিয়েছিলেন। চলতি বছরের ১ আগস্ট পান্থপথ এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অর্থায়নের অভিযোগে গেলো রোববার গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তানভির করিমকে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিখোঁজ হয়েছেন ৩৯৫ জন। তাদের মধ্যে লাশ পাওয়া গেছে ৫২ জনের। ফিরে এসেছেন ১৯৫ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৪৮ জন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষ নিখোঁজ হতে পারেন। গুম অপহরণের স্বীকার হতে পারেন। কিংবা আত্মগোপনে যেতে পারেন। তবে তাদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
তারা আরো বলছেন, মানুষের মনে নিরাপত্তাবোধ সমুন্নত রাখতে হলে গুম অপহরণের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। না হলে অপরাধীরা এর সুযোগ নিতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন