মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে আব্দুল আজিজ মিয়াসহ ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনই পলাতক।
বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কৃষক পরিবারের সন্তান আব্দুল আজিজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া গ্রামে। তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে আব্দুল আজিজ মিয়া জেলা আমিরের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে চারদলীয় জোটের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন আব্দুল আজিজ মিয়া। পরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জে নাশকতায় বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির চার পুলিশ মারা যান। সেই মামলাতেও তিনি প্রধান আসামি।
আব্দুল আজিজের ঘোড়ামারা আজিজ হয়ে ওঠার পেছনের গল্প থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনীর হয়ে আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ হত্যা, মালামাল লুটসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করেন। পাহারা দেয়ার সময় একদিন আব্দুল আজিজ মিয়া পাটখেতে নড়াচড়া দেখে মুক্তিযোদ্ধা এসেছে মনে করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। সেই গুলিতে অনেকগুলো ঘোড়া মারা যায়। তারপর থেকে তার নাম হয় ঘোড়ামারা আজিজ।
জাগোনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন