রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে কৌশলে ট্রাকের নিচে ফেলে দিয়ে হত্যা করা অজ্ঞাত নারীর পরিচয় মিলেছে।তিনি হচ্ছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ গ্রামের আনোয়ারুল পারভেজের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্ত সীমা প্রকাশ সোনালী (২৫)।
নিহত সোনালীর বাবা বলেন, কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে সোনালী রাজশাহী শহরে বসবাস শুরু করে। গত বছর রাজশাহী শহরের ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
এর পর থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেনি সোনালী। এলাকার বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই তার লাশ নিতে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত গরিব মানুষ। আমার মেয়ে কীভাবে মারা গেছে সেটি আল্লাহ দেখেছেন। তিনিই এর বিচার করবেন।
পবা হাইওয়ে পুলিশ (শিবপুরহাট ফাঁড়ির ইনচার্জ) উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, অনেক খোঁজখবর নেয়ার পর রাতেই নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে।
বুধবার সকালে সোনালীর বাবা মেয়ের লাশ শনাক্ত করেছেন। পরে তাদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে নিহত সোনালী কার সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে ওই এলাকায় এসেছিল, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে সোনালী এক মোটরসাইকেলচালকের সঙ্গে রাজশাহী থেকে নাটোরের দিকে যাচ্ছিল।
পথে পুঠিয়া উপজেলার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের গোপালহাটি নামক স্থানে আসামাত্র মোটরসাইকেলচালক তার পেছনের সিটে বসে থাকা সোনালীকে একটি ট্রাকের নিচে ফেলে দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পর দ্রুত মোটরসাইকেলচালক পালিয়ে যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন