আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ‘সচ্চরিত্রবান’ না হলে তাকে প্রার্থিতা দেওয়া হবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এমন নির্দেশনা দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত ইসি’র ওই নির্দেশনা পরিপত্র জারি করে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিপত্রটি রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (রিটার্নিং কর্মকর্তা), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) সংশ্লিষ্ট সকল দফতরে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এতে সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯ এর ৯ ধারার (২) (ঘ) এবং (২ )(ঙ) উপধারা উল্লেখ করে বলা বলা হয়েছে- ‘কোনো ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এবং মেয়র বা কাউন্সিলর পদে থাকার যোগ্য হবেন না যদি- কোনো ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর সময় পেরিয়ে না যায়। এক্ষেত্রে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে, আদালত আপিল গ্রহণ করলে, আপিলে রায় স্থগিত না হলে এবং জামিন পেলেও সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নির্বাচনের অযোগ্য’।
‘প্রজাতন্ত্রের বা সিটি করপোরেশনের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মেয়র পদে নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি লাভজনক হওয়ায় এ পদে থেকে নির্বাচনের সুযোগ নেই। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের পদে থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন। কেননা, কাউন্সিলর পদটি লাভজনক নয়’।
রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন আগামী শনিবার (২৫ নভেম্বর) ও রোববার (২৬ নভেম্বর)। এ সময় বিষয়গুলো সামনে এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করার পর তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে
আগামী ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আপিল কর্তৃপক্ষ আপিল নিষ্পত্তি করবেন ৩০ নভেম্বর থেকে ০২ ডিসেম্বরের মধ্যে। আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তও যথাযথ মনে না হলে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন। সেখানেও সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে না এলে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ০৩ ডিসেম্বর। আর ০৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। সেদিন থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত।
এ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সঠিকভাবে প্রতিপালনে মাঠে থাকবেন অর্ধশত ম্যাজিস্ট্রেট।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন