কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকার ছবি এঁকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পর্যটক বেঞ্চ। ওই বেঞ্চের ওপর পা উঠিয়ে গল্প-আড্ডা ও আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে নানা বয়সের পর্যটক। বালুসহ জুতাও ঠাঁই পায় ওই সব বেঞ্চে। পতাকার সবুজ জমিনে বসে লাল সূর্যকে অবজ্ঞায় পিছনে ফেলে দেশের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কুয়াকাটার সচেতন মহল।
.
সরেজমিন দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমে কাঁকড়া ফ্রাই জোন সংলগ্ন ১৫/২০টি বেঞ্চে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা এঁকে সাজিয়ে রেখেছেন ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম ও বাচ্চু। পর্যটক আকর্ষণে বেঞ্চের এমন সাজসজ্জা করেছেন তারা।
এদিকে জাতীয় পতাকার সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে তা আদৌ জানেন না অসচেতন ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা জানেন না ওই পতাকার মানে কী। তারা ভুলে গেছে ওই পতাকা অর্জনে কত প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। তারা জানেন না কত মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ পতাকা। অথচ এমন একটি জাতীয় বিষয় মনিটরিং করার যেন কেউ নেই। ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় পতাকার ছবি এঁকে তা অবমাননার দৃশ্য দেখে হতাশা প্রকাশ করেন পর্যটকসহ এলাকার শিক্ষিত সমাজ।
দুঃখ প্রকাশ করেন খুলনা থেকে আগত পর্যটক আব্দুস সালাম খান। তিনি বলেন, পতাকার জায়গা পায়ের নিচে নয়। পতাকা আঁকা বেঞ্চে পা উঠিয়ে বসা অবমাননার শামিল। আমাদের সবার এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত।
কথা হয়া কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান শাহিনেরর সাথে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। জাতীয় পতাকা অসম্মান করা মানে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অসম্মান করা। অতি দ্রুত সৈকতে বেঞ্চের ওপর আঁকা জাতীয় পতাকার চিত্র পরিবর্তন করে লাখো শহীদকে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান তিনি।
ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী বাচ্চু খলিফা আলাপকালে বলেন, মুই ভালোবাইস্যাই বেঞ্চে লাল-সবুজ পতাকার রঙ দিছি। ব্যাঞ্চগুলা দ্যাখতেও ভালো দ্যাহায়। পতাকার অপমান অইতেছে হ্যা খেয়ালই হরি নাই। পতাকার ছবি সরাইয়া মুই দোইওল পাখির ছবি আঁইক্যা দিমু।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের এএসপি আব্দুল করিমের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, দ্রুত বিষয়টি দেখছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন