পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্বামী সেনাবাহিনীর সৈনিক মহসিনকে হত্যা করায় স্ত্রী সালেহা খাতুন শিউলিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সালেহা চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলবের আইঠাদি মাথাভাঙ্গার সিরাজুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে। বর্তমানে তিনি পলাতক। গতকাল বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে- পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে সমাজে বর্তমানে স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করছে আবার স্ত্রীও স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরনের মামলার আসামির উপযুক্ত বিচার হওয়া প্রয়োজন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে এরকম নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যার অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে না। এ মামলার আসামি যে অপরাধ করেছে তা খুবই মর্মান্তিক, নারকীয় ও ভয়ংকর। তার অপরাধ বর্বরতা মানব সভ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সভ্য সমাজে মানুষের কাছে এ অপরাধ কোনোভাবেই সহনীয় ও গ্রহণযোগ্য নয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব কুমার শীল নিহতের স্ত্রীকে একমাত্র আসামি করে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, মহসিন সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। সে তার স্ত্রী, দুই ছেলেকে নিয়ে পল্লবীতে বাস করতেন। সালেহা পরকীয়ায় জড়িত থাকার ফলে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি লেগেই থাকতো। এর জেরে ২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর সালেহা প্রেমিকের সহায়তায় মহসিনের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায়। সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর সালেহা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন