রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রস্তুতিতে সন্তুোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুপুরে এ কথা বলেন।
.
সিইসি বলেন, প্রতিটি এলাকার নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশা করা যাচ্ছে, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন শেষ হবে। এই নির্বাচনে ৪ স্তরের নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে সেনা মোতায়েন হবে না।
প্রসঙ্গত, বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই থেকেই এ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী পুনরায় সেনা মোতায়েনের দাবি জানান।
নূরুল হুদা বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ থেকে ২৩ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। যাতে করে ভোটগ্রহণে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করে। নির্বাচনকে যাতে কেউ ব্যাহত করতে না পারে তার জন্য শুক্রবার থেকেই ৩৩ জন ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েনের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, সেনা মোতায়েন হবে না।
নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশী শক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যদি কেউ কালো টাকা বা পেশী শক্তি ব্যবহার করে, যদি কোন তথ্য ভিত্তিক খবর পাওয়া যায়, তাহলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে বা যারাই নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না। সবাই যাতে সমান অধিকার নিয়ে নির্বাচনের প্রচার অভিযান চালাতে পারেন সেই দিকেও নজর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশের হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অযথা কাউকে হয়রানি করবে না পুলিশ। তবে যদি কারো বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। তবে কোন প্রার্থীরই নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোন কারণ নেই, সবার সমান সুযোগ থাকবে।
মেয়র প্রার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, প্রতিটি থানায় একটি করে ক্যাম্প স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে। অর্থাৎ ৬টি থানায় ৬টি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন মেয়র প্রার্থীরা।
ইভিএম নিয়ে তিনি জানান, পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর একটি কেন্দ্রে ইভিএম চালু করার চেষ্টা করা হবে, তবে সেটি ভোটারদের সম্মতি থাকলে। একাধিক কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
রসিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য সকলের সহযোগিতার পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা আশা করেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন