সতিনকে কামড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শরিফুন্নেছা শিরিনকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে বড়াইগ্রাম আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম খুরশিদ আলম কাউন্সিলর শরিফুন্নেছা শিরিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে শরিফুন্নেছা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
ফারহানা জামান বড়াইগ্রামের কালিকাপুর মহল্লার কামরুজ্জামানের দ্বিতীয় স্ত্রী শরিফুন্নেছা শিরিন। তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম ফারহানা জামান। তাঁরা দুজন আলাদা বাড়িতে থাকেন।শনিবার (২ ডিসেম্বর) ফারহানার বাড়িতে শরিফুন্নেছার সঙ্গে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফারহানা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় শরিফুন্নেছাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
নাটোর আদালত পুলিশের পরিদর্শক নাসির উদ্দিন মণ্ডল বলেন, কামড়ানো ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বনপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শরিফুন্নেছার বিরুদ্ধে মামলা করেন তাঁর সতিন ফারহানা। এ মামলায় আজ দুপুরে শরিফুন্নেছা বড়াইগ্রাম আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী লোকমান হোসেন আদালতকে জানান, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। তিনি একজন নির্বাচিত কাউন্সিলর। এ ছাড়া ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বনপাড়া পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ অবস্থায় তাঁর জামিন হওয়া দরকার।
অন্যদিকে মামলার বাদী ফারহানা জামান আদালতে হাজির হয়ে তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের বিরোধিতা করেন। তাঁর আইনজীবী আরিফুর রহমান আদালতকে জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আসামি তাঁর সতিনকে নির্মমভাবে গলায় ও মুখে কামড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া মামলার বাদী একটি কলেজের প্রভাষক। এ ঘটনায় বাদীর মানহানি হয়েছে। এ কারণে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানান তিনি।
শুনানি শেষে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম খুরশিদ আলম আসামি শরিফুন্নেছা শিরিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাঁকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন