রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে হেল্থ কেয়ার প্রভাইডারকে (সিএইচসিপি) পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। এ সময় সেখানে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে দুই কর্মীদের নিয়ে এ তাণ্ডব চালান নওপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান। এ সময় দুইজন আহত হয়।
আহতরা হলেন- সেখানকার এইচসিপি আলফা খাতুন (৩২)। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আলফা খাতুনের স্বামী গোলাম ফারুক (৪০)। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। আহত গোলাম ফারুক ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ডা. দেওয়ান নাজমুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আলফা খাতুন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মশিউর রহমান মাহাফুজ হোসেন ও মোস্তাকিনকে সঙ্গে নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে আসেন। কোন ধরনের অসুস্থ না হয়েও এসেছিলেন তারা। একপর্যায়ে তারা ওষুধ দাবি করেন। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর চড়াও হন মশিউর। একপর্যায়ে তারা মজুদ ওষুধ ভাঙচুর ও ওষুধ বিতরণের রেজিস্ট্রার তছনছ করেন। বাধা দেয়ায় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন মশিউর। খবর পেয়ে তার স্বামী গোলাম ফারুক সেখানে উপস্থিত হলে তাকেও পেটান ছাত্রলীগ নেতা। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানালে তিনিই থানায় খবর দেন।
দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আলম বলেন, খবর পেয়ে দুপুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ নিয়ে এখনও থাকায় লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
এ বিষয়ে কয়েক দফা যোগাযোগ করে অভিযুক্ত মশিউর রহমানের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন