বাবা অসুস্থ। সংসারের খরচ জোগাতে তাঁর ইজিবাইক নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিল ১২ বছরের ছেলে। এরপর ১১ দিন ধরে সে নিখোঁজ। ইজিবাইকও পাওয়া যাচ্ছে না। ছেলেটির সন্ধান পেতে গতকাল সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজ ইয়াছিন সর্দার সদর উপজেলার নরসিংহাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর সর্দারের ছেলে। সে কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসিনের বাবা জাহাঙ্গীর সর্দার, মা ফরিদা বেগম, চাচা শাহীনুর রহমান, দাদা আবু তালেব সর্দারসহ গ্রামের শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইয়াছিনের বাবা জাহাঙ্গীর সর্দার একজন ইজিবাইকচালক। তিনি অসুস্থ। তাঁদের অভাবের সংসার। ১ ডিসেম্বর বিকেলে বাবার ইজিবাইক নিয়ে ইয়াছিন বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে ২ ডিসেম্বর মাগুরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ইয়াছিনের মা ফরিদা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে বাক্রুদ্ধ ছিলেন বাবা জাহাঙ্গীর সর্দার। মা ফরিদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘গ্রামে কারও সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমরা রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত না। আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। কেউ কোনো দিনও কোনো হুমকি-ধমকিও দেয়নি। আমার মনিকে (ইয়াছিন) ফেরত চাই।’
ইয়াছিনের চাচা শাহীনুর রহমান অভিযোগ করেন বলেন, ইজিবাইক চুরির একটি আন্তজেলা চোর চক্র আছে। গত দুই বছরে এলাকার অন্তত ছয়টি ইজিবাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রায় পাঁচ মাস আগে নরসিংহাটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী নামের এক ইজিবাইকচালকের ইজিবাইকটি ভাড়া করে ঝিনাইদহে নিয়ে যায় একটি চোর চক্র। পথে তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে ইজিবাইক ছিনতাই করে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মোহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঝিনাইদহ থেকে তাঁর ইজিবাইকটিও উদ্ধার করা হয়।
চানতে চাইলে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ছেলেটি নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি হওয়ার পর থেকে তার সন্ধান পেতে আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন