ওআইসির বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কে যাওয়ার পর নিজের প্রথম কর্মসূচিতে অটোমান সম্রাটদের রাজপ্রাসাদ পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তোপকাপি প্যালেস এক সময় অটোমান সম্রাটদের রাজপ্রাসাদ ছিল; এখন তা জাদুঘর হিসেবে তুরস্কে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। এই প্রাসাদটি ইউনস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত।
সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের সময়ে ১৪৬০ সালে তোপকাপি প্রাসাদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৪৭৮ সালে কাজ শেষ হলেও অটোমানদের সবচেয়ে প্রতাপশালী সম্রাট সুলতান সুলেমানের আমলে প্রাসাদটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়।
প্রায় ৪০০ বছর ধরে অটোমান সম্রাটদের বাসভবন ও প্রশাসনিক সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পর ১৯২৪ সালে প্রাসাদটি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাদুঘরে ইসলামের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যবহৃত তরবারি, তার পায়ের ছাপ, বিভিন্ন সাহাবির ব্যবহৃত পাগড়ি, অস্ত্র রয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে এই সফরে যাওয়া আবদুল হামিদ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকালে স্ত্রী রাশিদা খানমকে নিয়ে তোপকাপি জাদুঘরে যান। তার সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমও ছিলেন। তোপকাপি প্যালেসের পর ইস্তাম্বুলের ব্লু মস্কে যান রাষ্ট্রপতি।
ব্লু মস্ক সুলতান আহমেদ মসজিদ নামেও পরিচিত। এটি নির্মিত হয় অটোমান সম্রাট সুলতান আহমেদ কামিলের শাসনামলে।
১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে নির্মিত ছয়টি মিনার সম্বলিত এই মসজিদটি ইস্তাম্বুলে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান।
মসজিদের ভেতরে নীল টাইলসের কারুকার্যের জন্য এটি ব্লু মস্ক হিসেবে পরিচিত। মসজিদটি নামাজের সময় ছাড়া সব ধর্মের পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।
জেরুজালেম নিয়ে নতুন করে আন্তর্জাতিক টানাপড়েন শুরুর প্রেক্ষাপটে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসির ডাকা বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইস্তাম্বুল সফরে রয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় তিনি ইস্তাম্বুলে পৌঁছান। বুধবার ওআইসির বিশেষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার দেশের ফেরার কথা রয়েছে।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন