ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই সন্তানসহ নিখোঁজ গৃহবধূ সামিরা আক্তার ঝর্ণাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় তারিকুল ইসলাম নামে সামিরার কথিত প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার টেরিংবাজার থেকে দুই সন্তানসহ নিখোঁজ সামিরা আক্তার ঝর্ণাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক তারিকুল ইসলাম ও দুই সন্তানসহ গৃহবধূ সামিরা আক্তার ঝর্ণাকে সরাইল থানায় নিয়ে আসা হয়। গৃহবধূ সামিরা আক্তার ঝর্ণা প্রেমের টানে কথিত প্রেমিক তারিকুল ইসলামের হাত ধরে ঘর ছেড়ে নিখোঁজ ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আটক ঝর্ণার কথিত প্রেমিক তারিকুলের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায়। ঝর্ণার স্বামী মোসলেহ উদ্দিন পল্টুর সাথে চট্টগ্রামে চাকরি করার সুবাদে গত দুই বছর পূর্বে তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করত তারিকুল। এর সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারিকুল চাকরি ছেড়ে মালয়েশিয়া চলে যায়। গত ৫ ডিসেম্বর তারিকুল মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসার পর একই দিন ঝর্ণা তার হাত ধরে দুই সন্তানসহ পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, সরাইলের বড় দেওয়ান পাড়ার মৃত শাফি উদ্দিন ঠাকুরের পুত্র মোসলেহ উদ্দিন পল্টুর সাথে ২০০৬ সালে কালীকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়ার আব্দুর রফিক লস্করের মেয়ে সামিরা আক্তার ঝর্ণার বিয়ে হয়। তামিম ও নওরীন নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। গত ৫ই ডিসেম্বর বাবার বাড়ি থেকে সন্তানসহ নিখোঁজ হন ঝর্ণা।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ই ডিসেম্বর সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এ ঘটনায় বেনু দাস নামে এক অটোরিকশা চালককে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বেনু দাসের অটোরিকশা করেই ৫ই ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের হন ঝর্ণা। সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন দুই সন্তানসহ সামিরা আক্তার ঝর্না।
সরাইল থানার ওসি মো: মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে তারিকুল ও ঝর্ণা পালিয়ে যান। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে দুই সন্তানসহ নিখোঁজ গৃহবধূ ঝর্ণাকে উদ্ধারের পাশাপাশি তারিকুলকে আটক করা হয়েছে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন