বাংলাদেশ ও শ্রীলংকায় চিনি রফতানিতে অগ্রাধিকারমূলত শুল্ক সুবিধা চাইতে পারে ভারত। এজন্য দুই দেশের সরকারকে অনুরোধ করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারতীয় চিনিকল সংস্থা আইএসএমএ।
বর্তমানে ভারত থেকে বাংলাদেশে চিনি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক দিতে হয় টনপ্রতি ১৫০ মার্কিন ডলার ও শ্রীলংকার ক্ষেত্রে ১০০ মার্কিন ডলার। এই দুই দেশ বছরে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন।
আইএসএমএ’র ৮৩তম বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে ভারতীয় চিনিকল অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক অবিনাশ ভার্মা বলেন, ‘২০১৮-১৯ বাণিজ্যবর্ষে ভারতের চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। চলতি বছর এর পরিমাণ ছিল ২৫১ লাখ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রফতানির জন্য উৎপাদিত অনেক চিনি উদ্বৃত্ত থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এজন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি তারা যেন বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার কাছে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধার জন্য অনুরোধ করে।’
চিনির ক্ষেত্রে বাণিজ্যবর্ষ হিসাব করা হয় অক্টোবর মাস থেকে পরের বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আইএসএমএ’র প্রেসিডেন্ট সারিথা রেড্ডি বলেন, ভারতের চিনি রফতানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দর যথার্থ হবে না। কারণ ভারতে আখের মূল্য বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। তাই দেশটির জন্য অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশই তাদের প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধার জন্য অনুরোধ করে। যেমন ইন্দোনেশিয়া থাইল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকাকেও ভারতের একই অনুরোধ করা উচিৎ।’
ভারত সরকারকে এ ব্যাপারে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান রেড্ডি। তার ভাষায়, ‘এখন থেকেই সেই চেষ্টা শুরু করা উচিৎ, যাতে ভারতীয় চিনির বাজারকে কোনো ক্ষতিতে পড়তে না হয়।’
বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) এবং সার্ক ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (সাফটা)- এই দুই চুক্তিই রয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন