নারী কেলেঙ্কারী জড়িয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখেও নিজেকে বাঁচাতে এবার নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে কাদের মদদে তিনি এখনো এতোটা বেপরোয়া? কোন ক্ষমতা বলে বা কাদের মদদে ভুক্তভোগীকে সমঝোতায় বাধ্য করছেন? এমনকি সাংবাদিকদের হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন।
বহুল সমালোচিত এই ডিআইজি মিজান অস্ত্রের মুখে জোর করে বিয়ে করা স্ত্রী ইকোর পরিবারকে চাপ দিয়ে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করছেন। ক্ষমতার অপব্যবহারকারী পুলিশ কর্মকর্তা পুুুলিশ ডিআইজি মিজান সদর দপ্তরে প্রত্যাহার হয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হলেও ক্ষমতার দাপটে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাজে লাগিয়ে ভুক্তভোগিদের নানা ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন তিনি।
এমনকি তার প্রভাবের কারণে হুমকীর মুখে নিরাপত্তাহীনতায় থাকা সাংবাদিকদের সাধারণ ডায়েরি (জিডিও) গ্রহণ করতে গরিমশি করছে পুলিশ। সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ উপর মহলের মদদে এখনো প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন তিনি।
বাড়ি ভাংচুর এবং মিথ্যা মামলায় জেল খাটার আগে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন মরিয়ম আক্তার ইকো। বাড়িটি মাসে ৫০ হাজার টাকা ভাড়ায় নিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। জানুয়াররির প্রথম দিনই বাসা ছেড়ে চলে যান ইকো। এর আগে প্রায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন পুলিশ কর্মকর্তা। মধ্যরাতে এসে চলে যেতেন খুব ভোরে চলে যেতেন বলে জানায় বাড়িটির নিরাপত্তা প্রহরী।
ইকোর পরিবারকে আত্মগোপনে রেখে, নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে নেয়ার ফন্দি আটেন ডিআইজি মিজান। এসব বিষয়ে ২ জানুয়ারি শাশুড়ি কুইন তালুকদার ডিএমপি কমশিনার বরাবর সকল অভিযোগ সেচ্ছায় প্রত্যাহারের আবেদন জানান। যদিও এধরনের আবেদন পাননি বলে জানান ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় সূত্র।
ডিএমপির কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াও এধরনের কোনো আবেদন পায়নি বলে জানিয়েছে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সূত্র। তারা বলছেন, এ বিষয়ে এখন কমিশনারের আর কোনো হাত নেই। বিষয়টির যাবতীয় তদন্ত হবে পুলিশ সদর দফতরে। সুষ্ঠ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন আইজিপি।
এর আগে লালমাটিয়ার বাসা থেকে ইকো ও তার পরিবারকে কৌশলে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন ডিআইজি মিজান। গাড়িচালক গিয়াসকে ইকোর বাবা পরিচয়ে বসিলার ২ নম্বর সড়কের একটি ফ্লাট ভাড়া করে দেয়া হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর পান্থপথের বাসা থেকে বের করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি, বেইলী রোডের বাসায় নিয়ে নির্যাতন এবং পরে জোর করে বিয়ের অভিযোগ করেছিলেন মরিয়ম আক্তার ইকো।
এছাড়াও সরকারি প্রভাব খাটিয়ে বেসরকারি টেলিভিশনের এক সংবাদ উপস্থাপিকাকে একইভাবে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসার পর ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত কমশিনারের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় মিজানকে। অভিযোগ তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মাইনুর রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যরে কমিটি।
ব্রেকিংনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন