অস্ত্র আইনে মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলামকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর স্পেশাল ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, গাংনী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুন বেশি খরচে জমি রেজিস্ট্রির একটি অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। ওই সিন্ডিকেটের মূল হোতা ছিলেন আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ ভেন্ডার। উচ্চ মূলে জমি রেজিস্ট্রির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
আন্দোলনের মুখে ২০১২ সালের ২৭মে গাংনী উত্তরপাড়াস্থ নিজ বাস ভবন থেকে আশরাফুলকে আটক করে র্যাব ও পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, দুইটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ওই দিনই র্যাব-৬ গাংনী ক্যাম্পের তৎকালীন এস.আই সিরাজুল মোস্তফা গাংনী থানায় অস্ত্র আইনে আশরাফুলের নামে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৬ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গাংনী থানার তৎকালীন এস.আই নারায়ন চন্দ্র ঘোষ।
আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায় ঘোষণার পরই আদালতে উপস্থিত আশরাফুল ইসলামকে নেয়া হয় পুলিশ হেফাজতে। দুপুরেই তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে কোর্ট পুলিশ।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কুশলী অ্যাড. রুস্তম আলী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর বাদী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মতিন জানান তারা ন্যায় বিচার পাননি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, সিন্ডিকেট বিরোধী আন্দোলনের সময় আশরাফুলের নামে ১৭টি মামলা দায়ের হয়। জমি রেজিস্ট্রিতে প্রতারণা, মারধর ও জবর-দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলাগুলো রেকর্ড করে গাংনী থানা। প্রায় দেড় বছর পর জামিনে মুক্তি পান আশরাফুল। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তিনি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
অবশ্য সিন্ডিকেট বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব থাকা কয়েকজনের মধ্যে একজন হচ্ছেন এমএ খালেক। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর গাংনী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন