আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাতে অংশ নিয়ে লাখ লাখ মুসল্লি মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে মুসলিম জাহানের সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করেছেন।
কিন্তু সার্বিক কল্যাণ কামনা করেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মুসল্লিদের। কেননা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশনরোড থেকে উত্তরা আজমপুর, স্টেশনরোড থেকে কালীগঞ্জ সড়কের মিরের বাজার ও স্টেশনরোড থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কে লোকে লোকারণ্য। এ কারণে মহাসড়কে পরিবহন সংকট।
এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে পাঁচ টাকার বাস ভাড়া বিশ টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বাসস্ট্যান্ডগুলোতে দীর্ঘক্ষণ মুসল্লিরা বাসে উঠতে না পেরে কেউ হেঁটে কেউ আবার ট্রাকে চড়ে ঘরে ফিরছেন।
এছাড়াও ইজতেমার প্রভাব পড়েছে ময়দান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকাতেও। চৌরাস্তা থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়কে লেগুনা ভাড়া ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা হয়ে গেছে।
একই চিত্র ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। চৌরাস্তা থেকে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত লেগুনা ভাড়া ২০ টাকা হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে আজ ৪০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এসব নৈরাজ্য যেন দেখার কেউ নেই।
অপরদিকে, সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি টঙ্গী রেল স্টেশনেও জনসমুদ্র। ট্রেনের ভেতর তিলধারণের স্থান নেই। নেই ট্রেনের ছাদেও। সীমাহীন দুর্ভোগে থাকা ট্রেন যাত্রীদের রেল স্টেশনে পরের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
টঙ্গী রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার হালিমুজ্জামান বলেন, দ্বিগুণ হলে এক কথা। স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত পাঁচগুণ যাত্রী বেশি।
গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর সোহরাব আহমেদ মজুমদার বলেন, ইজতেমা ময়দানে লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম হয়েছে। মোনাজাতের পর একসাথে দলে দলে মুসল্লি মহাসড়কে উঠেছেন। আশা করা যাচ্ছে আজ রাতেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। জেলা ট্রাফিক পুলিশ নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন