১৬ জানুয়ারি মেয়র আইভীর মিছিলে গুলি ছুড়তে দেখা যায় মহানগর আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মহানগর কমিউনিটিং পুলিশের সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামকে।নারায়ণগঞ্জে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা আরও একজনের ছবি প্রকাশ হয়েছে। তার নাম শাহ নিজাম।অস্ত্রধারী নিজাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিউনিটিং পুলিশের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি শামীম ওসমানের প্রিয়ভাজন বলে প্রচার আছে।মঙ্গলবার সংঘর্ষের দিন শামীম ওসমানের অনুসারী নিয়াজুল ইসলাম এবং আইভী অনুসারী আবু সুফিয়ান ও সুমনের হাতে অস্ত্রের ছবি প্রকাশ পায়। এরও তিন দিন পর বের হলো শাহ নিজামের ছবি, যেটিতে তাকে গুলি করতে দেখা গেছে।
তবে শাহ নিজাম দাবি করেছেন তিনি মেয়র আইভী এবং তার অনুসারীদের ওপর কোনো হামলা করেননি।প্রকাশ হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, শাহ নিজাম জিন্সের প্যান্ট ও জ্যাকেট পরে সংঘর্ষস্থলে এসেছেন। তার চোখে ছিল সানগ্লান। তিনি প্রকাশ্যে গুলি করার পাশাপাশি তার নির্দেশে সাংবাদিকদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার মেয়র আইভীর নেতৃত্বে লোকজন যখন শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মুক্তি হাসপাতালের সামনে অস্ত্র হাতে সবার আগে ছবি উঠা নিয়াজুল ইসলাম তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে।এ সময় মেয়র সমর্থকরা তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সায়াম প্লাজার আগে নিয়াজুল অস্ত্র তাক করলে আইভীর সমর্থকরা তাদের বেদম পিটুনি দেয়।এর পরই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান, এই পর্যায়ে শাহ নিজামের নেতৃত্বে একদল লোক চাষাঢ়া থেকে দৌঁড়ে আসে হক প্লাজার সামনে। সেখানে অস্ত্র বের করে গুলি ছুড়েন শাহ নিজাম।
শাহ নিজামের সঙ্গে আসা লোকজনের সাথে লাঠিশোঠা ও ধারাল অস্ত্র ছিল বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তার নামটি এতদিন আলোচনায় আসেনি।স্থানীয়রা জানান, খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামেরে উল্টো পাশে ওসমান পার্ক এর মালিক শাহ নিজাম। যে সায়াম প্লাজার সামনে এই সংঘর্ষ হয়েছিল সেটির তিন তলায় তার অফিস কক্ষ রয়েছে।মঙ্গলবারের এই সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দিন হায়দারকে প্রধান তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অপর তুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও র্যাব ১১-এর সহকারী পরিচালক (এএসপি) বাবুল আখতার।শাহ নিজামের গুলি করার বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ঘটনা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে। সাতদিনের তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া কথা রয়েছে। আমরা যথা সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেব। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আমরা বলব কী পেয়েছি আর কী পাইনি।’
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন