দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কথা বলা মসজিদ। প্রায় ২৫০০ বছরের প্রাচীন এ মসজিদটিকে ঘিরে রয়েছে নানান কথা। এ এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা এই মসজিদকে কথা বলা মসজিদ কিংবা আওকরা মসজিদ নামেই চিনে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এক সময় মসজিদটির আশপাশে মুসলিম জনবসতি থাকার কারণে এখানে ১১৭২সালে মীর্জা লাল বেগ মুসলিম সম্প্রদায়ের নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে এই মসজিদ নির্মাণ করেন।
চিকন ইটে নির্মিত দেয়ালে নকশা করা মসজিদটি উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের বেলান নদীর পূর্ব ধারে মীর্জার মাঠ নামক স্থানে অবস্থিত।
এদিকে, মসজিদটি প্রতিষ্ঠার সময় কে কি নাম রেখেছেন তাও কেউ বলতে পারে না। পরবর্তী সময়ে লোকজন মসজিটির পাশ দিয়ে চলাচলের সময় এটির মধ্যবর্তী অংশে দূর থেকে দাঁড়িয়ে কথা বললে এক সময় জোরে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি হত। তাই শুনে তারা ভাবত মসজিদটি তাদের কথার উত্তর দিচ্ছে।
এ থেকে মসজিদটির নাম হয়ে যায় আওকরা মসজিদ অর্থাৎ কথা বলা মসজিদ। এখনও এটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শব্দ করে কথা বলে প্রতিধ্বনি শোনার আশায়। কিন্তু মসজিদের দেয়াল ফেটে গিয়ে নষ্ট হওয়ায় এবং এর গায়ে আগাছা পরিপূর্ণ হওয়ায় আগের মত আর আওয়াজ হয় না।মসজিদটিতে সর্বশেষ কত সালে নামাজ আদায় হয়েছে তা জানা যায়নি।
ওই এলাকার সচেতন নাগরিকরা ধারণা করেন ব্রিটিশ সরকারের আমলে অথবা অন্য কোন কারণে তারা মসজিটির আশপাশ এলাকার ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। ফলে এটি অযত্ন-অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় দীর্ঘকাল পড়ে আছে এবং সংস্কারের অভাবে মসজিদটি ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে চলছে।
তাই এলাকাবাসীর দাবি, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কিংবা সরকারি কোনো বিভাগ যদি পদক্ষেপ নিয়ে মসজিদটির সংস্কার করে তাহলে এটি হতে পারে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন