ভারতীয় মাংস আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়ে মাংস ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানির জন্য দেশের জনগণ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। ভারত থেকে ১৮০ টাকা কেজি মাংস কিনে সেটি দেশে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে আমদানি হলেও তা মাংসের দাম কমাতে পারছে না। উল্টো সময়ে সময়ে বেড়েছে।
রোববার মাংস ব্যবসায়ীদের পক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম।
তিনি বলেন, মাংস আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের চামড়া শিল্প, খামারি এবং মাংস ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত চামড়াখাতের প্রোডাক্ট অব দ্যা ইয়ারের সুফল মিলবে না। পাশাপাশি হাজার কোটি টাকা খরচ করে গড়ে তোলা আধুনিক চামড়া শিল্পনগরীর উদ্দেশ্যও ব্যাহত হবে।
রবিউল আলম বলেন, ভারতীয় মাংস আমদানি ছাড়াই দেশে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে এর জন্য প্রশাসনকে গাবতলী গরুরহাটসহ বিভিন্ন স্তরে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, গাবতলী গরুরহাটের ইজারাদার ইজারার শর্ত ও আইন ভঙ্গ করে ইচ্ছেমত গরুরহাট ও মাংস ব্যবসাযীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছেন। বিষয়টি ডিএনসিসিকে একাধিকবার জানানোর পরও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
মাংস ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সহায়তায় নিয়োগপ্রাপ্ত ইজারাদার গাবতলীর গরুরহাটে চরমভাবে লুটপাট চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশ, হাইকোর্টের আদেশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আদেশ ও মাংস ব্যবসায়ীদের শত শত অভিযোগেও তা বন্ধ হচ্ছে না। উপরন্তু প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও ইজারাদার মিলেমিশে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রবিউল আলম দাবি করেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। জনদাবি উপেক্ষা করে প্রশাসনে, দল কিংবা সরকারেও কারও ভ‚মিকা মুখ্য হতে পারে না। জনগণকে কম দামে মাংস খাওয়াতে হলে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে দেশের স্বার্থে ভারতীয় মাংস আমদানির মত আত্মঘাতী অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্টওদর সরে আসতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাংস ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন