বন্ধ হয়ে যাওয়া লেকহেড স্কুল পুনরায় খুলতে শুধু ঘুষের লেনদেন নয়, রাষ্ট্রীয় গোপন নথিপত্রও ওই স্কুলের মালিকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা কর্মচারী।
বনানী থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে এমন তথ্যই উল্লেখ করা হয়েছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
ঘুষ-বাণিজ্য, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেন, মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন ও লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে বনানী থানায় মামলা করা হয়েছে। ডিবির এসআই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন(মামলা নম্বর ৩৬)।
মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রেফতার হওয়া শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ওই দুই কর্মচারী আদালতের নির্দেশ অমান্য করে লেকহেড গ্রামার স্কুলটি খুলে দেয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন।
এজন্য তারা ওই স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করেছিলেন।
জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ওই স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শুধু ঘুষ নয়, রাষ্ট্রীয় গোপন নথিপত্র গ্রেফতার হওয়া ওই দুই কর্মকর্তা বেআইনিভাবে স্কুলের মালিক মতিনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২১ জানুয়ারি রাতে উৎকোচের পাওনা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ বনানী ডি ব্লকের (রোড নং- ১৩/১৫ এর ৩৯ নম্বর হাউস) সামনে থেকে নাসিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় নাসির ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন