দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা করে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে প্রায় ৫৪ দিন পর তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব-রামচন্দ্রপুর তালেরডাঙ্গা গ্রাম থেকে দুলাভাই ও শ্যালিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ হোসেন (৪০)। তিনি তালেরডাঙ্গা গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে। তার শ্যালিকা নবাবগঞ্জ উপজেলার চামুন্ডাই গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে সোহাগা বেগম (১৭)। আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগা বেগমের বাবা মন্টু মিয়া জানান, ১৫ বছর আগে তার বড় মেয়ে রোকসানা বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফরহাদের। তাদের সংসারে নয় বছর ও সাত বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্য রাতে, রোকসানা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। পরদিন ১ জানুয়ারি রোকসানার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে পুলিশ তদন্তের কাজ শুরু করে।
এর পর থেকে গা ঢাকা দেন ফরহাদ। এর মধ্যে চলতি মাসের ২০ জানুয়ারি রোকসানার ছোট বোন সোহাগাকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এই ঘটনায় ২১ জানুয়ারী ফুলবাড়ী থানায় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ফরহাদের নামে একটি অভিযোগ করেন মন্টু মিয়া। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে, সোমবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) এসরাকুল বলেন, শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার কারণে স্ত্রী রোকসানাকে হত্যা কথা ফরহাদ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বলেন, আটক ফরহাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাসায় স্ত্রী-কন্যার ঝুলন্ত লাশ, শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও স্বামী
রাজধানীর সবুজবাগ আহমেদবাগ এলাকার একটি টিনসেড বাসা থেকে স্ত্রীকন্যার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে সবুজবাগ থানা পুলিশ। নিহতরা হলেন-শান্তনা (২৫) ও তার মেয়ে মাহফুজা (২)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আহমেদবাগ কমিউনিটি সেন্টারে পাশের একটি বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
সবুজবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রহমত উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, মেয়ের গলায় ফাঁস আটকিয়ে পরে মা নিজেও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মৃত শান্তনার স্বামী ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। লোকমুখে শুনতে পেরেছি, তার স্বামী শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন