‘অর্ধাহারে-অনাহারে আর কতদিন, আমাদেরকেও বাঁচতে দিন’, ‘মাগো তুমি দেখে যাও, আমাদের দাবি মেনে নাও', 'এসি বাড়ি, এসি গাড়ির প্রয়োজন নাই, মোটা ভাত মোটা কাপড়ের নিশ্চয়তা চাই', 'বিলাসিতা চাই না, মানুষের মতো তিনবেলা খাবার খেয়ে বাঁচতে চাই'সহ এরকম একাধিক ফেস্টুন-প্লেকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন পালন করছেন জাতীয়করণে বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে তারা অন্দোলন করছেন।
প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রোববার সকাল ১০টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন পালন করছেন। আন্দোলনে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষিকা এসেছেন। সবার এক দাবি- জাতীয়করণ করতে হবে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু ৪ হাজার ১৬৯টি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। তখন বলা হয়, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে না পারায় জাতীয়করণ করা হয়নি।
গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জের ইনামুক হক পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, 'আট বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। কিন্তু ২০১৩ সালে যখন জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী, তখন আমার প্রতিষ্ঠানের কাগজ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত পৌঁছাইনি। যার কারণে আমার প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়নি।'
ঝিনাইদহ সদর থেকে আসা আব্দুস সামাদ শফিক পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, 'আমি টানা ২০ বছর ধরে চাকরি করছি, কিন্তু এখনো কোনো বেতন পাইনি।'
তিনি বলেন, 'জাতীয়করণের সকল শর্ত পূরণ করা হলেও জাতীয়করণ থেকে ৪ হাজার ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রয়োজনে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি দেবো।'
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন