বিয়ের চার বছর পর শাশুড়ির হাতে যৌতুকের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন এক মেয়ের জামাই। একইসঙ্গে দেনমোহর পরিশোধের জন্য স্ত্রীর নামে জমি লিখে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন জামাই এরশাদ আলী।
এরশাদ আলী পেশায় একজন দোকান কর্মচারী। মেয়ের জামাইয়ের যৌতুকের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি নীলফামারীজুড়ে সবার মুখে মুখে ঘুরছে।
এ বিষয়ে জামাই এরশাদ আলী বলেন, বিয়ের সময় বুঝে উঠতে পারিনি যৌতুক নেয়া হারাম। তাই হারামের টাকায় কখনও আরাম পাইনি বলেই আজ সেই টাকা ফেরত দিতে এসেছি। শুক্রবার রাতে নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড চেরেঙ্গা মাঝা পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ওই গ্রামের মৃত সুলতান মামুদের মেয়ে রোজিনা বেগম (২৩) ও তার পার্শ্ববর্তী ৬ নং ওয়ার্ড সবুজ পাড়া এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে এরশাদ আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ৯০ হাজার টাকা যৌতুক নেন ওই জামাই।
অভাবের সংসার হলেও সুখে কাটছে তাদের দিন। কোলজুড়ে এসেছে একটি কন্যা সন্তান। এরইমধ্যে এরশাদ তার পরিবার কর্তৃক গ্রহণকৃত যৌতুকের ৯০ হাজার টাকা নিয়ে বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হন। পরে নিজের পরিশ্রমের সঞ্চয়কৃত টাকা ও একটি গাভিসহ শাশুড়ি রাবেয়া বেওয়ার কাছে ফেরত দেন।
এ বিষয়ে শাশুড়ি রাবেয়া বলেন, এমন মেয়ের জামাই পেয়ে আমি গর্বিত। যৌতুকের টাকা ফেরত দিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এরশাদ।
বিষয়টি জানিয়ে ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান আকবর আলী বলেন, এরশাদ যা করলো তা দেখে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন