গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের সোর্স ভাড়াটে তরুণী দিয়ে এক পল্লী চিকিৎককে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন পুলিশের কর্মকর্তা। মূলত, অর্থ আদায়ের জন্য এসআই লুৎফর রহমান এক তরুণীকে ফন্দি এটে ছিলেন। এ বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এসআই লুৎফরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রত্যাহারের বিষয়টি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর গণমাধ্যমকে নিশ্চত করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভাড়াটে এক তরুণী সোর্সকে রোগী সাজিয়ে ফার্মেসিতে ঢুকিয়ে মাহমুদুল নামে এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। ওই নারী ফার্মেসির পেছনের কক্ষে গিয়ে চিৎকার করতে থাকলে বাইরে অবস্থান করা এসআই লুৎফর রহমান ভেতর যান। তিনি ওই নারীকে চিৎকারের কারণ জিজ্ঞাস করলে চিকিৎসক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পরে চিকিৎসকের কাছে পুলিশ টাকা দাবি করলে টের পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এলাকাবাসী।
তারা ওই এসআইসহ পুলিশের তিন সদস্যকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
উপজেলার গড়গড়িয়া নতুন বাজার এলাকায় ঘটা এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা জানা জানি হলে পরের দিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পায়। শুরু হয় তোলপাড়।
পরে ঘটনা তদন্ত করতে পুলিশ মাঠে নামে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর শীর্ষনিউজকে বলেন, শ্রীপুর থানার এসআই লুৎফর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন