জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের দণ্ড দেওয়া রায়ের জাবেদা নকল (সার্টিফায়েড কপি) দেওয়ার আগে পুনরায় চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন বিচারক।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৫ম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
রায় দেওয়ার আগে বিচারক বলেন, মামলাটিতে মোট ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়। রায়ের পুরোটা না পড়ি আমি সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করছি।
এরপর তিনি মামলার এজাহার, কীভাবে তিনি মামলাটি পেলেন তার বিবরণী ও আসামিদের সাজার অংশটুকু পড়ে শোনান।
ওইদিনই মামলার রায়ের কপির জন্য আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, আমরা রায়ের দিনই এর নকল চেয়ে আবেদন করেছি। রোববার খালেদা জিয়ার ডিভিশন শুনানিতেও বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছি যে, আজ (রোববার) রায়ের কপি পেলে সোমবার হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে পারতাম। কিন্তু বিচারক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার জুনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, আমরা রায়ের কপির জন্য আদালতে ফোলিও (যে কাগজে জাবেদা নকল দেওয়া হয়) জমা দিয়ে চেয়েছি। কিন্তু তারা তা নেননি। আশাকরি সোমবার তা দিতে পারবো।
আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর শুক্র ও শনিবার বন্ধ ছিল। রোববার বিচারক নিয়মিত কোর্ট করেছেন। রায়ে পুনরায় চোখ বুলিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাননি। রায়ের জাবেদা নকল আসামিপক্ষ কিংবা বাদীপক্ষকে সরবরাহের পর রায়ে ছোটখাট কোনো ভুল-ক্রটি থাকলে সংশোধনের আর সুযোগ থাকে না। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় রায়ের জাবেদা নকল দেওয়ার আগে বিচারক তাতে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। মামলার নথিটি বর্তমানে বিচারকের খাস কামরায় রয়েছে।
রায় ঘোষণার পরপরই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদসহ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রায়ের নকল পেলে রোববারই তারা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করবেন। রোববার রায়ের নকল না পাওয়ায় তা বিলম্ব হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
Venomous political terrorism.What about the cases of hundred and thousand crores of taka mismanagement linked with fox like cunning Hasina?
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন