হবিগঞ্জের বাহুবলে বন্ধুর বোনকে বিয়ে করার কথা বলায় স্কুলছাত্র হাবিবকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হত্যার দায় স্বীকার করে ঘাতক শামীম মিয়া (১৮) ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে।
সোমবার রাত ৮টায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘাতক শামীমের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার রাতে তার দুই বন্ধু জুয়েল মিয়া (১১) ও শাহজাহান মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘাতক শামীম উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের খুজারগাঁও গ্রামের আমির আলীর ছেলে।
নিহত স্কুলছাত্র উপজেলার খোজারগাঁও গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে হাবিব মিয়া (১২)। সে স্থানীয় বিহারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
মঙ্গলবার দুপুরে বাহুবল থানায় এক প্রেস বিফিংয়ে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজিম উদ্দিন (মিডিয়া) বলেন, বোনকে বিয়ে করার কথা বলা ও বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গত শনিবার বিকালে উপজেলার বানিয়াগাঁও মাদ্রাসায় তাফসির মাহফিলে যায় হাবিব। কৌশলে হাবিবকে তাফসির মাহফিল থেকে বানিয়াগাঁও এলাকার একটি মাঠে নিয়ে আসে তারা। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তিনজন মিলে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হাবিবকে। পরে শামীম ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা সেখান থেকে বাড়িতে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, রাতে শামীম নিজে গিয়ে জুয়েল ও শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে। শামীম প্রায় এক মাস যাবৎ তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল।
ঘটনার পরপরই ঘাতক শামীমসহ পুলিশ পাঁচ শিশুকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে তদন্তে অগ্রসর হয় পুলিশ। পরে শামীমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
প্রেস বিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাহুবল মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী, ওসি তদন্ত দস্তগীর আহমদ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন