শহীদ মিনার ভেঙে তৈরি করা হচ্ছে মুদি দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মিরপুরে জান্নাতুল একাডেমী হাইস্কুলের সামনে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অস্বীকার করেন।
শহীদদের স্মৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে জান্নাতুল একাডেমী হাইস্কুলের সামনে সগৌরবে দাঁড়িয়েছিল বাঙালির প্রাণের শহীদ মিনার। যেখানে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতো শিক্ষার্থীরা। সে ভাষা আন্দোলনের মাসেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যের জন্য শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হলো।
অভিভাবকরা বলেন, এই দেশের জন্য, ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্মৃতিসৌধ ভেঙে একটা দোকান করা তো খুবই খারাপ কাজ।
এদিকে শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ছাড়াও ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, কয়েকদিন আগে দোকান তৈরি করে ভাড়া দেয়ার জন্য শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে জান্নাতুল একাডেমী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এ টি এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি কারও কাছ থেকে কোন অ্যাডভান্স নেইনি। পাশের শহীদ স্মৃতি স্কুলে যান, অপজিটে শহীদ আবু তালেবে যান দেখেন কয়টা দোকান। সেখানে বেনারশি মার্কেট করেছে তারা।
স্কুল পরিচালক পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই দেখবো। যদি সে কোন অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় মানুষ গড়ার কারখানা। কিন্তু যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মর্যাদা দিতে পারে না ভাষা শহীদদের, যেখানে বাণিজ্যের স্বার্থে ভেঙে ফেলা হয় শহীদ মিনার, সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম শিখবে কিভাবে ? প্রশ্নটি থেকেই যায়।
সূত্র : সময় টিভি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন