মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রথম প্রহর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নেমেছে। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা, দলের লোকজন আসছেন শহীদ মিনারে। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা ব্যানার নিয়ে মূল বেদির সামনে ভিড় করায় সেখানে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে হাতাহতিও হয়েছে। এসময় ব্যানারগুলো নামিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বারবার অনুরোধ করা হয় ঘোষণা মঞ্চ থেকে।
ব্যানার বিড়ম্বনার কারণে সকাল সাড়ের ৯টার দিকে হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘কখনও কখনও দু-একটি ঘটনা ঘটে যায়। এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। যারা এরকম ঘটনা ঘটায় তারা কখনও একুশের চেতনা বহন করে না। আপনারা দেখেছেন ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেচ্ছাসেবকরা ২-৩ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এটি আমলযোগ্য কোনও ঘটনা না। এই একটি ঘটনা দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করতে পারি না।’
ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম বাড়ছে। দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। আসছে বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধিরাও।
ব্যানার বিড়ম্বনা
এদিকে, একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, তিন বাহিনীর বাহিনীর প্রধান, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানায় ভাষা শহীদদের প্রতি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন