ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চরহাসেনপুর ভূইয়া ফিলিংস্টেশনের কাছে বাসের ধাক্কায় রতন খান নামে এক ব্যাক্তি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরন করেছেন। রতনের বাড়ি উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়াপাড়া গ্রামে।
তার বাড়িতে এখন স্বজনদের আহাজারি।সংসারের এক মাত্র উপার্জনকারী রতনের চলে যাওয়া কেউ মানতে পারছেন না।পাশের বাড়ির আতাউর রহমানের পুকুরে মাটি কাটার কাজ করছিলেন তিনি। ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত মাটিকাটা শুরু হয় পুকুরে। তারপর পারিশ্রমিক নিয়ে বাড়িতে ফেরেন।
দুপুরের খাওয়ার জন্যে ঘরে কিছুই ছিল না। তাই পারিশ্রমিকের টাকা পাওয়ার সাথে সাথে সাইকেল নিয়ে দুপুরে চাল কিনতে ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের দিকে যাত্রা করে রতন।পথিমধ্যে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।তাঁর সাথে প্রাণ যায় আরো তিন বাস যাত্রীর আহত হয় আরো অর্ধশত।
গত দুইদিন ধরে ঘরে চাল না থাকায় পাশের বাড়ি থেকে চাল ধার নিয়ে রান্না হচ্ছে। রাতের খাবার শেষে পাতিলে যা থাকে তা দিয়েই চলে সকালের নাস্তা।দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক রতন। ছেলে রমজান পৌরসদরের চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, মেয়ে মিনা আক্তার পড়েন ঘাগড়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে, দুই বছরের নুর মোহাম্মদের এখনো মায়ের কোলে।চাল আসেনি, এসেছে রতন খানের নিথর দেহ!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন