কেরানীগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে দুই সন্তানের জননীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোহিনুর বেগমকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে নির্যাতনের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুপুরে ভুক্তভোগী নারী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে জিনজিরা বন্দ ডাকাপাড়া এলাকার মজিবরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জিনজিরা বন্দ ডাকাপাড়া এলাকার মজিবর নামে এক ব্যক্তিকে লাখি আক্তার চাচা বলে ডাকতেন। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় মজিবরের সঙ্গে তাদের পারিবারিক একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই সূত্র ধরে মজিবর মাঝেমধ্যে তাদের বাসায় আসা যাওয়া করতেন। এতে মজিবরের স্ত্রী কোহিনুরের সন্দেহ হয় যে তাদের মধ্যে কোনো অবৈধ সম্পর্ক আছে। শুক্রবার রাতে কোহিনুর কৌশলে লাখি আক্তারকে বাসায় ডেকে নিয়ে আটকে রেখে রাতভর মারধর করে। এ সময় আরও কয়েকজন তার ওপর নির্যাতন চালায়।
তবে তিনি তাদের নাম বলতে পারেননি। একপর্যায়ে কোহিনুর কাচি দিয়ে মাথার সব চুল কেটে দেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই ছেলেকেও মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই ওবায়দুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোহিনুর বেগমকে আটক করা হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া আছে এমন সন্দেহ থেকেই লাখিকে তিনি নির্যাতন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, লাখির স্বামীর একটি রিকশা গ্যারেজ রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, এক নারীকে নির্যাতন করে চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আরও কয়েকজন তাকে সহায়তা করেছিল বলে জানতে পেরেছি। অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন