ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হলো পিলখানা ট্রাজেডির শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের। রোববার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এসময় এ বছরের মধ্যেই পিলখানা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলার বিচার শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে সেনা শহীদ দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের কেটেছে নয় বছর। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও শোকের ক্ষতে প্রলেপ পড়েনি এতটুকু। আর তাই প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি এলেই নিহত সামরিক কর্মকর্তাদের স্বজন, বন্ধু, সহকর্মীরা জড়ো হন বনানী সামরিক কবরস্থানে। ফুলেল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেন তাদের। আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন।
২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। দিনটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান নিহতদের স্বজনরা।
শহীদ সেনা সদস্যদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিন বাহিনী প্রধান ও বিজিবি মহাপরিচালক। পরে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন জানান, চলতি বছরের মধ্যেই বিস্ফোরক মামলাটি শেষ করার চেষ্টা করছেন আমাদের আইনজীবীরা। বিদ্রোহের ক্ষত ছাপিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলেছে আমাদের বাহিনী।
অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মাহবু্বুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা জানান নিহতদের প্রতি।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল অব. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি মনে করি এখানে একটা বিশাল ষড়যন্ত্র আছে। বিএনপি রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসলে অফিসিয়ালি আমরা এই দিনটাকে স্মরণ করব।
এছাড়াও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন