‘রায় যদি কারো পক্ষে যায়, তখন বলেন এটি ঐতিহাসিক রায়। আর যদি কারো বিপক্ষে যায়, তখন বলেন এটা ফরমায়েশি রায়।’
খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বক্তব্যের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রোববার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম একটি পত্রিকায় প্রকাশিত রিজভীর বক্তব্যের কাটিং আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করেন এবং আদালতকে জানান, মাননীয় আদালতের জ্ঞাতার্থে এই কপি পেশ করা হলো।
পত্রিকায় প্রকাশিত রিজভীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আদালত বলেন, ‘এগুলো পত্রপত্রিকার কথা। রাজনীতিবিদরাই বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। পত্রিকায় কী নিউজ হয়, এগুলো দিয়ে তো বিচার করতে পারবো না।’
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্য বিচারক ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করেছেন বলে দাবি করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছেন, সেখানে বিচারকের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে আমাদের পূর্বের বক্তব্যগুলোরই সত্যতা সুপ্রমাণিত হয়েছে।’
ওই দিন তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আদালতে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিকে বিচারক বিকৃত করে তার রায়ে উদ্ধৃত করেছেন। বেগম জিয়া বলেছিলেন, ...ছাত্র ও শিক্ষকদের হত্যা করা হচ্ছে। এগুলি কী ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? ক্ষমতার অপব্যবহার আমি করেছি?’
‘কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বিচারক মহোদয় দেশনেত্রী বেগম জিয়ার বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করেছেন কেবলমাত্র সরকার প্রধানকে সন্তুষ্ট করার জন্য,’ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন