বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে অন্য জায়গায় খুন করার সিদ্ধান্ত থাকলেও অন্য জায়গায় খুন করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সুযোগের অভাবে পরিকল্পনা মত বই মেলাতেই খুন করা হয়। এই ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন চালায় আনসার আল ইসলাম। অপারেশনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘটনার সময় আনসার আল ইসলামের প্রধান মেজর জিয়াসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত অনানুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
সম্পর্কিত
দেশে দারিদ্র্য কমলেও বৈষম্য কমছে না
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ঘরে বসে করুন: বিএনপিকে কাদের
ঢাকাসহ ২২ জেলায় নতুন ডিসি
মেজর জিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে পলাতক বলেই আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। কয়েকমাস আগে সে দেশে ছিল, এখন কোথায় আছে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। দেশে থাকলেও নিষ্ক্রীয় অবস্থায় কোথাও আত্মগোপনে আছে কিংবা বিদেশে রয়েছে। আনসার আল ইসলামের বর্তমান কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের কার্যক্রম মূলতঃ অনলাইন কেন্দ্রিক। বর্তমানে কোন অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে নেই বলে আমরা জানি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিজিৎকে খুন করার পেছনে কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল না। মূলত তার লেখালেখির কারণেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিজিৎকে খুন করা হয়। যেহেতু অভিজিৎ বিদেশে ছিল তাই সে কবে দেশে আসবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করে এবং তাদের ইন্টেলিজেন্স উইং থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সার্ভিলেন্স উইং তাকে খুনের পরিকল্পনা করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন