নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। তাদের খবরে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ৭৮ জন আরোহী ছিলেন, তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলা হচ্ছে ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। বিধ্বস্ত বিমানটিতে থেকে ১৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এর আগে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর ২টার ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (টিআইএ) ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
নেপালের হিমালয়ান টাইমস ও কাঠমান্ডু পোস্টসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিমানটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে ল্যান্ড করার পূর্বেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
টিআইএ’র মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুরের বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, টিআইএ’র ও নেপালে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
নেপালে যাত্রীবাহী ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্ত
ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলার একটি বিমান কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ছিলো। তবে ক্রুসহ এই সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। বিবিসি জানায়, এখন পর্যন্ত ১৭ যাত্রীকে উদ্ধার করে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার কোন কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
ঢাকায় ইউএস বাংলার কর্মকর্তারা জানায়, দুপুর ১২টা ৫১মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ইউএস বাংলার এস২এজিইউ বিমান। এই দুর্ঘটনার পর কতজন উদ্ধার হয়েছে তা জানানো হলেও হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
ত্রিভূবন বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুরের বরাত দিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি। এ সময় ত্রিভূবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনী বেশ কিছু যাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন