নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াস রায়ের বাবার আকুতি তার ছেলের লাশ দেখার। পাসপোর্ট না থাকার কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ নেপাল যেতে পারেননি। দুর্ঘটনার দুইদিন পর বুধবার (১৪ মার্চ) সকালে বরিশাল থেকে ছুটে আসেন ঢাকায় ইউএস বাংলা অফিসে। ছেলের লাশটুকু দেখার অপেক্ষায় দুই চোখ বেয়ে শুধুই অশ্রু গড়াচ্ছে এই বাবার।
বুধবার সকালে সুখেন্দু বিকাশ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নেপালে দুর্ঘটনার স্বজনদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। আমরা যোগাযোগ করেছিলাম ইউএস বাংলার সঙ্গে। কিন্তু পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকায় আমি যেতে পারিনি।’তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে ডাক্তার হতে চেয়েছিল। মানুষের সেবা করতে চেয়েছিল। অনেক ভালো ছাত্র ছিল সে। এই কয়েকদিন আগেই পরীক্ষা শেষ করে ছুটিতে নেপাল ঘুরতে গেলো। প্লেনে উঠার আগেও মাকে ফোন করে বিদায় নিল। তার মৃত্যুর খবর শুনে তার মা শয্যাশায়ী। আমারও হার্টের সমস্যা। আমরা কীভাবে তার লাশ পাবো বা কীভাবে তার কাছে যাবো তা জানতে এসেছি ঢাকায়।’
এভাবেই আকুতি করে কষ্টের কথা জানালেন নিহত পিয়াস রায়ের বাবা শুখেন্দু বিকাশ রায়। এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বরিশাল শহরেই থাকেন তারা।
এদিকে বুধবার সকালে আরও এসেছেন নিহত হাসান ইমামের স্বজন বিথী। তার দাবি, দ্রুত লাশ শনাক্ত করে করে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হোক।
ইউএস বাংলার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘পিয়াস রায়ের বাবাকে অনুরোধ করা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব পাসপোর্টের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য। ইউএস বাংলার অথোরিটিও এ ব্যাপারে সহায়তা করবে। আমরা নিজ খরচে তার পাসপোর্ট করিয়ে নেপাল নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবো।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন