রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি এলাকায় একটি চড়ুই পাখি আটকে গিয়েছিল ঘুরির সুতায়। প্রাণপণ চেষ্টা করেও পাখিটি নিজেকে মুক্ত করতে পারছিল না। পাশেই ছিল অপর সঙ্গী পাখিটি। কিচিরমিচির করে সঙ্গী পাখিটিও তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছিল।
চড়ুই পাখিটির এই সুতায় আটকে থাকার দৃশ্য জানালা দিয়ে দেখছিলেন সাংবাদিক সৌরভ হাবিব। তিনি বেশ কিছুক্ষন চেষ্টা করেন পাখিটিকে মুক্ত করতে। কিন্ত অনেক উঁচুতে থাকার কারণে কিছু করতে না পেরে হতাশ হয়ে ফোন দেন ফায়ার সার্ভিসে।
ফায়ার সার্ভিসে জানানোর ১০ মিনিটেই তারা দুটি গাড়িতে ১০ জন লোক নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। ফায়ার সার্ভিসের সাইরেন শুনে অনেকে ভেবেছিলেন কোথাও হয়ত আগুন লেগেছে। উৎসুক জনতার ভুল ভাঙ্গে চড়ুই পাখিটি দেখতে পেয়ে।
ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কোনো অবহেলা না করে দ্রুত মই লাগিয়ে উপরে উঠে পাখিটিকে উদ্ধার করে। পাখিটি মুক্তির আনন্দে কিচিরমিচির শব্দ করে মুক্ত আকাশে উড়ে যায়। উপস্থিত জনতাও হাত তালি দিয়ে পাখিটির মুক্তির আনন্দ উদযাপন করে। কেউ কেউ বলতে থাকেন একটি প্রান বাচল, ভাল একটি কাজ হল।
উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য বলে, ‘আমরা বিষয়টি একটি জীবন হিসেবে দেখেছি। প্রত্যেকটা জীবনের আমরা সমান মূল্য দেই তা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। যেকোন দুর্ঘটনার কথা জানলেই আমারা ব্যাবস্থা গ্রহন করি।’
একটি চড়ুই পাখি বাচানোর জন্যে সবার এমন অংশগ্রহন এবং উদ্ধার করাটা অনেক বেশি মানবিক ও সচেতনামূলক। এভাবেই সব প্রাণের বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। আমাদের পাশে থাকা প্রত্যেকটা জীবনের বেচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করাটাও আমাদের দায়িত্ব ও কাজ।
বাংলাইনসাইডার/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন