প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমন বাবু (৭)। গত আট মাস ধরে আগুনে পোড়া ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। সেই ক্ষত ধীরে ধীরে মরণব্যাধি ক্যান্সারের দিকে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা দ্রুত এই ক্ষত অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এতে খরচ পড়বে লাখ খানেকের মতো। দরিদ্র বাবা-মার পক্ষে এই ব্যয় বহন করা অসম্ভব।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী করুষাফেরুষা গ্রামের দিনমজুর আমিনুল ইসলামের ছেলে ইমন বাবু।
ইমনের বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, প্রায় আট মাস আগে খেলতে গিলে বাড়ির পাশের একটি আগুনের ছাইয়ের ভিড়ায় ইমনের বাম পা পড়ে যায়।
এতে পায়ের গোড়ালি পুড়ে গেলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করানো হয়। পরবর্তীতে টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারেননি তার বাবা-মা। ধীরে ধীরে পোড়া জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
যন্ত্রণায় ইমন সব সময়ই কান্নাকাটি করতো। নিরুপায় পরিবারের লোকজন আফরোজা খাতুন নামের স্থানীয় এক নারী সাংবাদিকের সহযোগিতায় রংপুর মেডিকলে কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার মারুফুল ইসলামের কাছে ইমনকে নিয়ে যান।
পরীক্ষা-নীরীক্ষা করে দেখা যায় শিশু ইমনের পায়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতটি ভেতরে ভেতরে ঘায়ের সৃষ্টি করেছে। এ সময় ডাক্তার মারুফুল ইসলাম জরুরি ভিত্তিতে ইমনের পা অপারেশনের পরামর্শ দেন। অপারেশন না করলে ওই ঘা থেকে সৃষ্টি হতে পারে মরণব্যাধি ক্যান্সার। আর এই অপারেশনের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ১ লাখ টাকা।
ডাক্তারের এই পরামর্শটি শিশু ইমনের পরিবার আমলে নিলেও তারা এখন অপারেশনের খরচ যোগাতে হয়েছেন দিশেহারা।
ইমনের বাবা আমিনুল ইসলাম একজন দিনমজুর। তার নেই কোনো বসতভিটা। তার সম্পর্কের শাশুড়ি ওড়না বেগমের ২ শতাংশ জায়গায় ঘর উঠিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনমতে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
এই মুহূর্তে দিনমজুর আমিনুল ইসলামের পক্ষে ১ লাখ টাকা যোগাড় করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই শিশু ইমনের বাবা আমিনুল ইসলাম ও মা ইয়াছমিন বেগম তাদের আদরের সন্তান ইমন বাবুকে বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষ ও সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সংস্থার কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
যোগাযোগের ঠিকানা- ইয়াছমিন বেগম, ফোন ও বিকাশ নম্বর-০১৯২৬-৮৯৪২০৫ (পার্সোনাল)।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন