সিলেটের গোলাপগঞ্জের ক্লাববাজার এলাকায় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত মছকন্দর আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের ৯৫ ভাগই পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওসমানী হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মোহাম্মদ নাহিয়ান।
রোববার ভোর সোয়া ৩টার দিকে গোলাপগঞ্জের ক্লাববাজার এলাকায় লয়লু মিয়ার একটি বস্তিতে বজ্রপাতে গ্যাস লাইনে আগুন লেগে একটি ইউনিট পুড়ে যায়। এতে মছকন্দর আলীর স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
রোববার দুপুরে গুরুতর আহত মছকন্দর আলীকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন আহতের খালাত ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন আহমদ।
লিটন আহমদ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জাগো নিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মছকন্দর আলীর স্ত্রী সেবু বেগম ও শিশুপুত্র তাহসান মারা গেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছে মছকন্দর আলীর অবস্থাও সংকটাপন্ন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা হলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পনাইরচক গ্রামের মছকন্দর আলীর স্ত্রী সেবু বেগম (৪০), শিশু সন্তান তাহসান (২), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার খালেরমুখ গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (২৫), গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ নোয়াই গ্রামের সেবুল মিয়া (১৬) ও অজ্ঞাত এক কিশোর (১৫)।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (প্রশাসন) একেএম ফজলুল হক শিবলী বলেন, দমকলবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন