প্রধানমন্ত্রীর আতিথেয়তা ছবিটি ২০১৭ সালের। ওই বছরও একইভাবে অতিথি আপ্যায়ন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাড়ির মেয়ে বলে কথা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন সামরিক-বেসামরিক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। উপলক্ষ্য ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মদিন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে আগত অতিথিদের খাবার পরিবেশন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আতিথেয়তায় যারপরনাই মুগ্ধ অতিথিরা।
অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা নিজ হাতে সকল অতিথিদের পাতে যেমন খাবার তুলে দিয়েছন, তেমনি তদারকিও করেছেন কে কোনটা নেবেন। কে কোন পদ মিস করলেন, কার জন্য কোন খাবার বেশি পছন্দ তাঁকে যেনো সেটা দেওয়া হয় এসব দেখেছেন। কে একটু বেশি খেতে পারবে, কে কম খাচ্ছেন এসবেও নজর ছিল প্রধানমন্ত্রীর। অতিথিরা বলছিলেন, আবহমান কালের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পরিবারের আতিথেয়তাই পেয়েছেন তাঁরা।
অতিথিরা বলেন, সে সময়টিতে শেখ হাসিনা রীতিমতো হয়ে ওঠেন ওই বাড়িটির মেয়ে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে শুরু করেন অতিথি আপ্যায়ন। খাবার পরিবেশন করা হলে তার তদারকিও করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় সবাই প্রধানমন্ত্রীকে খেয়ে নেওয়ার অনুরোধ করলেও প্রধানমন্ত্রীর ছিল এককথা, অতিথিরা খাওয়া শেষ করলেই তিনি খাবেন।
অতিথিদের কয়েকজন গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরের খাবারে নানা পদের আয়োজন ছিল। তবে খাবারের স্বাদের চেয়েও প্রধানমন্ত্রীর আতিথেয়তাই তাদের কাছে বড় হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়নে মুগ্ধ হয়েছে সবাই।
জানা গেছে, অতিথিদের মধ্যে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসনে আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরবিহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রী পরষিদ সচিব মো. শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজীবুর রহমান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমরিাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ র্মাশাল আবু এসরার, পুলিশের আইজি ড. জাভেদ পাটোয়ারী, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন