মশার ওষুধ ছেটানোর কিছু সময় পর আবার মশা চলে আসে। মশার শরীরে ওষুধ ছেটানো হলেও মশা মারা যায় না। এসব কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মশা নিধনের ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ডিএনসিসি’র একাধিক কাউন্সিলর। তারা বলছেন, মাশা মারার ওষুধ কোনো কাজে আসছে না।
মশা নিধনের ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জাকির হাসান বলেন, মশা নিধনের ওষুধ খারাপ এটা বলা যাবে না। কারণ তিন স্থরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পরে ওষুধ মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়।
তিনি অনেকটা ঠাট্টার ছলে বলেন, ‘মশা দেখতে পেলে এইম করে মারতে পারতাম। মশা রুমের মধ্যে থাকলে, সেখানে ওষুধ ছেটালে মারা যেত। মশা উড়ে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যায়।’
ডিএনসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাশেম হাসু পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘মশার ওষুধের কার্যকারিতা নেই। ওষুধ দিলে মশা তো মরে না। এ বছর ওষুধ ছিটালে মশা মরছে না।’
ডিএনসিসিকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করপোরেশনকে জানানো হয়েছে। তারা বলেন, ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করার সময় মশা-মাছি মারা যায়। এরপর অন্য হাতে ওষুধ গেলে দুই নম্বর হয়ে যায়।’
একই কথা বলেন ডিএনসিসির ৩১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু। তিনি বলেন, ‘ওষুধে কোন কাজ হচ্ছে না। মশার ওপর ওষুধ ছিটালে মারা যায় না। কোনো কাজ হচ্ছে না ওষুধে। এদিকে এলাকাবাসীর কাছে আমাদের কথা শুনতে হচ্ছে।’
মশার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কিছু বলতে পারছেন না তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ল্যাবরেটরিতে তিন ধাপে টেস্ট করা হচ্ছে। এক ধাপে যদি কোনো সমস্যা থাকে আমরা সেই ওষুধ ব্যবহার করি না। মশার ওষুধে কোনো সমস্যা নেই।
মশার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে কাউন্সিলরদের অভিযোগের বিষয়ে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধের ময়দানে ফাঁকা স্থানে গুলি করলে শত্রু মারা যাবে না। তখন কি অস্ত্র খারাপ এটা বলা যাবে?
তাহলে এতো অভিযান চালানোর পরেও কেন মশা নিয়ন্ত্রণে আসছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, সবাই সচেতন না হলে মশা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার তুলনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় মশার উপদ্রব্য বেশি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে ডিএনসিসি বলছে, জলাশয় দক্ষিণের তুলনায় উত্তরে বেশি।
মশা নিধনে ডিএনসিসির খরচ
বর্তমানে ডিএনসিসি’তে ফগার মেশিনের সংখ্যা ২৩৯টি। আর লার্বি সাইড ছেটানোর মেশন ৩১৫টি। প্রতিদিন ২৮৩ জন কর্মী দিয়ে মশা নিধনের কার্যক্রম চালানো হয়।
প্রতিদিন ৫ লিটার করে এডাল্ট মশা মারার ওষুধ দেয়া হয় একজন কর্মীকে। এক লিটার ওষুধের দাম ৩৭৭ টাকা। তাহলে প্রতিদিন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৫১৫ টাকা ব্যয় হচ্ছে মশা নিধনে। এদিকে লার্বি সাইড মশার ওষুধ ১ লিটারের দাম ১৫’শ টাকা। প্রতিদিন ৩০ সিসি করে একজন কর্মীকে দেয়া হয়। ১০ লিটার পানিতে ৫ সিসি ওষুধ মেশাতে হয়। পরিবর্তন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন