শরীয়তপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এলিম পাহাড়ের বিচার দাবিতে ভ্যানে চড়ে মানববন্ধন করলেন আহত জুলেখা বেগম (৪০), বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহবুবা আক্তারের কাছে স্বারকলিপি দেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আহত জুলেখা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর পৌরসভার উত্তর বালুচড়া গ্রামের মৃত পীর বক্স পাহাড়ের ছেলে মো. রুহুল আমিন পাহাড়ের সঙ্গে একই গ্রামের জাবেদ আলী পাহাড়ের ছেলে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এলিম পাহাড়ে দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলছে।
কিছুদিন আগে রুহুল আমিনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এলিম পাহাড়। চাঁদা না দিলে রুহুলের সম্পত্তির অর্ধেক অংশ দাবি করেন তিনি।
রুহুল টাকা ও সম্পত্তি দিতে অস্বীকার করলে এলিম পাহাড়ের লোকজন গত ১৫ মার্চ শরীয়তপুর কোর্ট সংলগ্ন পাকার মাথায় রুহুলের বোন জুলেখা বেগমকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন।
পরে জুলেখা বেগমকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রুহুল আমিন বাদী হয়ে এলিম পাহাড়সহ তার পাঁচ ভাইয়ের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি ও শরীয়তপুর কোর্টে মামলা করেন। মামলা করায় রুহুল আমিনের পরিবার বাড়িতে থাকতে পারছেন না।
অসহায় পরিবারটির নিরাপত্তা ও দোষীদের বিচার চয়ে হাত-পা ভাঙা আহত শরীর নিয়ে জুলেখা বেগম শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে ভ্যানে চড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে এসে জুলেখা শুধু কান্না করেন। কোনো কথা বলতে পারেননি। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি দেন।
মো. রুহুল আমিন পাহাড় জাগো নিউজকে বলেন, আমরা গরিব মানুষ। শরীয়তপুর পৌরসভায় অল্প একটু সম্পত্তির মধ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করি। কিন্তু সেই সম্পত্তির ওপর চোখ পড়েছে প্রভাবশালী এলিম পাহাড়ের। তাই আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে না পারলে অর্ধেক সম্পত্তিও চায়। দিতে অস্বীকার করলে আমার বোনকে হাত-পা ভেঙে দেয় এলিম পাহাড়ের লোকজন। তাই আমি মামলা করেছি। মামলা করায় আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা বাঁচতে চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন