ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থীকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) কর্তৃক তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উপাচার্য ভবন সংলগ্ন কলাভবনের গেট থেকে তাদের তুলে নেয়া হয়।
তুলে নেয়া তিন ছাত্র হলো তানভীর, ফয়সল ও হিমেল। এর মধ্যে তানভীর এবং ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক ছাত্র। হিমেল সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ঢাবি ছাত্র জানান, ‘মোটরসাইকেলে ওই তিন ছাত্র র্যাবের একটি হাই-এস মডেলের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর র্যাবের গাড়ির চালকের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীদের কথাকাটাকাটি হয়। পরে গাড়িতে থাকা ১০-১২ র্যাবের পোশাক পরিহিত সদস্য বের হয়ে তাদেরকে বন্দুক ঠেকিয়ে মোটর সাইকেলের হেলমেট দিয়ে র্যাব সদস্যরা ছাত্রদের বেদম মারধর শুরু করে।’ সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি সাদা রঙের অ্যাপাচি মোটরসাইকেল ( নং ২৮৯৫১৭) ও ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য ও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর পরিদর্শক করেছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। টিএসসিতে আগত বিভিন্ন রুটের গাড়ি আটকাতে থাকে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান সহ সংগঠনটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সহকারী প্রক্টর সোহেল রানা তুলে নেয়া তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে জানালে ছাত্ররা নিবৃত্ত হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, র্যাবের গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে লাগিয়ে দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা গাড়ির চালককে বের হতে বললে সে উত্তেজিত অবস্থায় বের হয়। এসময় র্যাবের অন্য সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের আটক করে মারধর করে। পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস খোলার দিন এব্যাপারে র্যাবের সাথে বসবো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন