ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেছেন, ‘তৎকালীন পাকিস্তান আন্দোলনের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। শুধু তা-ই নয়, তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের একজন প্রবক্তা হিসেবেও নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।’
শুক্রবার (২৩ মার্চ) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে 'আবুল মনসুর আহমেদের খোঁজে: বুদ্ধদেব বসুর সাথে তর্কের সূত্রধরে' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুজ্জামান বলেন, ‘সাংস্কৃতিকভাবে ১৯৪৫ সালে তিনি (আবুল মনসুর) লিখেছেন বাঙালি মুসলমান বাঙালি হিন্দুর চেয়ে আলাদা। তবে সাহিত্য ধর্মে চিহ্নিত হওয়া উচিত নয়, এ কথাও তিনি বলেছেন।’
প্রাবন্ধিক ও গবেষক হায়াৎ মাহমুদ বলেন, ‘সাহিত্য পাঠ একটি জটিল প্রক্রিয়া। উপন্যাস, নাটক দশ জন পাঠক পড়লে দশ রকমের উপলব্ধি করতে পারে। আমি আবুল মনসুরকে ভিন্নভাবে পড়েছি। তার লেখা আমার মনকে আকর্ষণ করে।’
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধপাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। আলোচনা করেন হায়াৎ মাহমুদসহ প্রাবন্ধিক মোরশেদ শফিউল হাসান।
রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট-এর সহযোগিতায় এ সভার আয়োজন করে আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদ ও জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন