বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ইসলামিক ট্যুরিজম সিটি হিসেবে ঢাকাকে বেছে নেওয়া হতে পারে । চমৎকার। মুসলমানরা সারা বিশ্ব থেকে ঢাকায় আসবে ইসলামের ঐতিহ্য দেখতে। হাজারো মসজিদ দেখতে, হাজারো মাদ্রাসা দেখতে। টুপি বোরখা আর হিজাব পরা লাখো মুসলমান দেখতে। কোরান, হাদিস, তসবিহ আর জায়মানাজের দোকান দেখতে। মসজিদের মাইক থেকে একযোগে আযান বেরিয়ে ঘুমের মানুষদের কী করে ভোরবেলায় জাগার আগেই জাগিয়ে দেয়, দেখতে। ইসলামিক ট্যুরিস্টদের নাস্তিকহত্যার জায়গাগুলো তো দেখাতেই হবে। যেসব জায়গায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইসলামের সমালোচকদের— অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নিলয় নীল, নাজিমুদ্দিন সামাদকে— কুপিয়ে মেরেছে, সেসব জায়গা নিঃসন্দেহে ফেভারিট ট্যুরিস্ট স্পট হয়ে উঠবে। হলি আর্টিজান ক্যাফে তো হবেই ট্যুরিস্ট স্পট। এটি না দেখলে ইসলামিক ট্যুরিস্টদের ট্যুর সম্পূর্ণ হবে না। গাইড নিশ্চয়ই বর্ণনা করবেন, ৫ জন ইসলামি সন্ত্রাসি, ইসলাম দ্বারা মগজধোলাই হয়ে, কী করে ২৪ জন নিরীহ মানুষকে জবাই করেছিল।
ভালো যে ষাটের দশকে জন্মেছি। সত্তর আশির দশক কৈশোর আর তারুণ্যে পার করেছি। নব্বইয়ের দশকে দেখছিলাম দেশটা নষ্ট হচ্ছে। এখন তো রীতিমত দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। ঢাকার বহুতল বিল্ডিং-এর লিফটের ভেতরেও লাগানো থাকে ওঠা-নামার ইসলামি বিধান। মানুষ কী করে সহ্য করে এসব! কেন ছিঁড়ে ফেলে না ফালতু উপদেশবাণী? দেশটা তো শুধু কুসংস্কারাচ্ছন্নদের নয়, বিজ্ঞানমনস্কদেরও। শুধু অজ্ঞদের নয়, জ্ঞানীদেরও। মাঝে মাঝে একে দেশ মনে হয় না, মনে হয় পাগলের আখড়া।
পাঠক মন্তব্য
পাগলেরা অন্যদের পাগল-ই মনে করে, এ তো বহুত পূরাতন কথা
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন