ভোগান্তি কমাতে আরেক বছর সময় চাইলেন সাক্কু
খানা-খন্দে ভরা সড়ক আর সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির জন্য কুমিল্লাবাসীর কাছে দু:খ প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হলে পরের বছর থেকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না নগরবাসীকে। বদলে যাবে এই নগরীর চেহারা। কুমিল্লা নগরীর বেহাল সড়ক আর জলাবদ্ধতা নিয়ে সম্প্রতি পরিবর্তন ডটকম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে নগরবাসীর কাছে দু:খ প্রকাশ করে মঙ্গলবার রাতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মেয়র সাক্কু।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের পরপর দুইবার নির্বাচিত এ মেয়র বলেন, ‘নির্বাচনের সময় জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে যথেষ্ট চেষ্টা করবো। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর জাইকা, বিশ্ব ব্যাংক এবং নিজস্ব ফান্ড দিয়ে ড্রেন ও রাস্তা করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাজ চলছে। কাজের জন্য জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত।’
নিজস্ব ঢংয়ে, স্বাভাবিক কথোপথনে মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘ভালো কিছু পাওয়ার জন্য একটু কষ্ট করতে হবে। জলাবদ্ধতার (নিরসন) জন্য আগে থেকেই ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে, কালভার্টসহ তৈরি করা হচ্ছে। ড্রেন তৈরি হয়ে গেলেই সাথে সাথে রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে।’
নগরীর অনেক ওয়ার্ডেই সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে দাবী করে মেয়র বলেন, ‘যেসব এলাকায় ড্রেন সংস্কারের প্রয়োজন নেই, ইতিমধ্যে সেসব এলাকার ৭টি রাস্তা ঠিক করে ফেলেছি। বাকি যেগুলো রয়েছে ড্রেনের কাজ শেষ হলে কাজ শুরু হবে। যেসব রাস্তায় জলাবদ্ধতা বেশি থাকে সেসকল জায়গায় আরসিসি ড্রেন করছি।
নগর ভবনে লিপিবদ্ধ ‘নাগরিক সেবায় বদ্ধ পরিকর’স্লোগানটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে নগর পিতার দাবী, ‘আমরা নগরবাসীকে সেবার দেয়ার জন্য চেষ্টা করতেছি। চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না। সব রোডেই কাজ চলছে। যদি আমি এ বছরই সবগুলো কাজ শেষ করতে পারি ইনশাআল্লাহ জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।’
‘এছাড়াও নগরীর আলোকসজ্জার জন্য লাইটও আছে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকার। আগামী সপ্তাহ থেকে এলইডি লাইটসহ বিভিন্ন রকমের লাইট নগরীতে লাগানো হবে। আধুনিক পিলার লাগানো হচ্ছে লাইটের জন্য।’
‘সব প্রকল্পের কাজেই হাত দিয়েছি আমরা’- উল্লেখ করে মেয়র সাক্কু বলেন, ‘খাল খননের জন্যও টেন্ডার দেয়া হয়েছে। ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার টেন্ডার এই টেন্ডারে যদি যাইতে পারি তাহলে নিশ্চিত দিতে পারি শহরে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।’
খাল খনন ছাড়া অপরিকল্পিন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে নগরবাসীর আনা অভিযোগের সাথে একমত পোষণ করে মেয়র বলেন- ‘খাল যদি খনন না করি, যত বড় ড্রেন বানাই পানি নিরসন হবে না। ড্রেন ছাড়া রাস্তা করা যায় না। তাই আগে ড্রেনের কাজ চলছে সাথে সাথে রাস্তার কাজ হয়ে যাবে।’
উন্নয়নের সফল পেতে নগরবাসীকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়ে মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি নিজেও দেখছি রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা। কিছুটা ধৈর্য রাখতে হবে উন্নয়নের জন্য। অতি দ্রুত ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু বৃষ্টির কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আমরা আশা করছি, যে কাজ ধরেছি- বৃষ্টির আগে ফিফটি পার্সেন্টের উপরে কাজ শেষ করবো। তারপরেও কাজ চলবে। ২০১৮ সালে ভালো একটি ফল ভোগ করবো আমরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন